নিজের সঙ্গে বেঁচে থাকার উদযাপন পল ক্লি-র ডায়েরি।
নিজের সঙ্গে বেঁচে থাকার উদযাপন পল ক্লি-র ডায়েরি। এক জন শ্রেষ্ঠ শিল্পীর চেতনার চিলেকোঠায় যে সব গোপন মণি-মুক্তো ছড়ানো থাকে তাকে ছুঁয়ে দেখার আহ্বান জানাচ্ছে এই সব শব্দ ও বাক্য। একদিকে প্রেম-মৃত্যু ও যৌনতা সম্পর্কে মৌলিক চিন্তার বিবর্তন ধরা পড়েছে এর পাতায় পাতায়, অন্যদিকে সাহিত্য ও সংগীতের থেকে চিত্রভাষা খুঁজে পাওয়ার এক অনন্য অভিজ্ঞতার সাক্ষ্য দিচ্ছে এই ডায়েরি। শিল্পীমনের পথে পথে ছিটিয়ে থাকা গোপন বোধকে লালন করে দার্শনিক চিন্তার পথে কী ভাবে অগ্রসর হওয়া যায় তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় এই দিনযাপনের নোটবুক।
শিল্পীর জীবদ্দশায় এই ডায়েরি ছুঁয়ে দেখার অধিকার ছিল না কারও। এমনকি তাঁর স্ত্রী বা পুত্ররও নয়। পল ক্লি-র মৃত্যুর পর যখন তাঁর স্ত্রী-র হাত থেকে পুত্র ফেলিক্স ক্লি-র হাতে বাবার ডায়েরি হাতে আসে, তিনি সিদ্ধান্ত নেন এই ডায়েরি প্রকাশ করার। তরুণ শিল্পরসিকদের কাছে এই ডায়েরি এক অক্লান্ত শিল্পী জীবনের ভাঙন ও উজ্জীবনের দলিল। সেই বিশ্বাস থেকেই ফেলিক্স ক্লি ১৯৫৬ সালে বাবার এই চার খণ্ডে লিখিত গোপন জবানবন্দি উন্মুক্ত করে দেন পাঠকের কাছে। এই প্রথম বাংলা তরজমা প্রকাশিত হচ্ছে এই ডায়েরির প্রথম খণ্ড