আজ, আমি, শতাধিক কবিতা না-লিখলেও কুড়ি বছর আগে গুজরাতের মুসলিম-নিধন ও মুসলমান নারীদের ধর্ষণ করে পুড়িয়ে মারার ঘটনা প্রায় সবাইকেই ভুলে যেতে দেখে এবং এই মুহূর্তে ভারতবর্ষের কেন্দ্রীয় সরকারে অধিষ্ঠিত প্রধান দলটির প্রশ্রয়ের জোরে বলীয়ান হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলির প্রচণ্ড দাপট লক্ষ করে ‘কঙ্কাল’ পুস্তিকাটি লিখি। প্রায় সঙ্গে-সঙ্গেই, আবারও একই বিষয় নিয়ে, একই ভাষায় এই ‘ঘাতক’ পুস্তিকাটি প্রকাশ করতেও বাধ্য হচ্ছি।’
গত ৪ নভেম্বর, শুক্রবার, মান্দাস থেকে প্রকাশিত হয় জয় গোস্বামীর নতুন কবিতার বই ‘ঘাতক’।
‘এইরকম কয়েকটি লাইন পাচ্ছি বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের একটি কবিতাপুস্তিকার ভূমিকায়: ‘বন্দিমুক্তি আন্দোলনের সময় একটার পর একটা কবিতা লিখে এই পত্রিকায় ওই পত্রিকায় নিজে থেকেই পাঠিয়েছি। কোনটা কবিতা হল আর কোনটা কবিতা হল না— এটা দেখার সময় তখন ছিল না। বিষয়টাই ছিল প্রধান। ফলে “বহু কাব্যগুণহীন জার্নালিজম” হয়েছে। নকশাল তরুণ-তরুণীদের নিয়ে যখন পুলিশী তান্ডব চলছিল, সত্তর দশকের সেই কয়েকটা বছর শুধু প্রতিবাদ জানানোর জন্যই আমাকে শতাধিক কবিতা লিখতে হয়েছে।... কিছু দুর্বল কবিতাও আমার কাছে তখন প্রয়োজনীয় মনে হয়েছিল।
আজ, আমি, শতাধিক কবিতা না-লিখলেও কুড়ি বছর আগে গুজরাতের মুসলিম-নিধন ও মুসলমান নারীদের ধর্ষণ করে পুড়িয়ে মারার ঘটনা প্রায় সবাইকেই ভুলে যেতে দেখে এবং এই মুহূর্তে ভারতবর্ষের কেন্দ্রীয় সরকারে অধিষ্ঠিত প্রধান দলটির প্রশ্রয়ের জোরে বলীয়ান হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলির প্রচণ্ড দাপট লক্ষ করে ‘কঙ্কাল’ পুস্তিকাটি লিখি। প্রায় সঙ্গে-সঙ্গেই, আবারও একই বিষয় নিয়ে, একই ভাষায় এই ‘ঘাতক’ পুস্তিকাটি প্রকাশ করতেও বাধ্য হচ্ছি।’